হরিতকি
হরিতকি 'ওষুধের রাজা' নামেও পরিচিত এবং উল্লেখযোগ্য স্বাস্থ্য উপকারিতা প্রদান করে যেমন; এটি চুল পড়া রোধ করে এবং খুশকি দূর করে, কোষ্ঠকাঠিন্যে সহায়ক, কাশি ও সর্দি প্রতিরোধ করে, ব্রণ ও আলসার দূর করে, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়, ডায়াবেটিস প্রতিরোধ করে, ওজন কমাতে সাহায্য করে, ত্বকের অ্যালার্জির সঙ্গে লড়াই করে, হার্টের উন্নতি করে.
ব্যবহার
:
- হরিতকিগাছের ফল-বীজ-পাতা সবই মানুষের উপকারে আসে।
- রোগ প্রতিরোধে প্রতিষেধক হিসেবে এই উদ্ভিদ বিশেষ কার্যকর।
- জীবাণু ও ছত্রাকজনিত রোগের ক্ষেত্রে বিশেষ উপকারী।
- প্রচলিত আছে, প্রতি সকালে এক কাপ পরিমাণ হরিতকী ভেজানো পানি ব্যবহার করলে রোগ থেকে দূরে থাকা যায়।
- আমলকী ও বিভীতকীর (বহেড়া) সঙ্গে হরিতকী ভেজানো পানি, সব রোগের আশ্চর্য মহৌষধ।
- হরিতকী চূর্ণ ঘিয়ের সঙ্গে মিশিয়ে খেলে, পিত্তশূল দূর হয়।
- পাইলস, হাঁপানি, চর্ম রোগ, ক্ষত রোগ, কনজাংটিভাইটিস রোগে হরীতকী ব্যবহৃত হয় বিশেষভাবে পরিশোধনের মাধ্যমে।
- ইহা রক্ত চাপ এবং অন্ত্রের খিঁচুনি হ্রাস করে।
- হৃৎপিণ্ড ও অন্ত্রের অনিয়ম দূর করে।
- ইহা রেচক, কষাকারক, পিচ্ছিলকারক, পরজীবীনাশক, পরিবর্তনসাধক, অন্ত্রের খিঁচুনি রোধক এবং স্নায়বিক শক্তিবর্ধক।
- তাই ইহা নতুন ও পুরাতন কোষ্ঠকাঠিন্য, স্নায়বিক দুর্বলতা, অবসাদ এবং অধিক ওজন এর চিকিৎসায় ব্যবহৃত হয়
- আমলকী, হরিতকী ও বহেড়া এই তিন ফলের মিশ্রণকে ত্রিফলা বলে।
- আগে চামড়ার ট্যানিংয়ের জন্য ও কাপড়ে রঙ করতে হরিতকীর ফল ব্যবহার করা হতো।
- যদি গা বমি বমি করে তাহলেও ছোট এক টুকরো হরতকি মধু সাথে মিশিয়ে খেলে বমি বমি ভাব দূর হয়।